শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
খাদ্য বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধাচার সভা করেছে। সবাইকে শেষ বারের মত হুঁশিয়ার করা হচ্ছে। আগের দিন আর নেই, নতুন উদ্যমে নতুন ভাবে চলতে হবে, যদি কেউ এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে ফুডে চাকরি করা যাবে না। আমাদের ট্রিপল থ্রি রয়েছে মোবাইলের মেসেজ রয়েছে আমরা প্রতিদিন এগুলো চেক করছি। আমরা শতভাগ সত্যতা নিয়ে চলছি এখানে কোনো রকমের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবেনা।
মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পটুয়াখালীতে আমন সংগ্রহ ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন এ কথা বলেন।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্য মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা দরে চাল কেনা হয়, এটি সংরক্ষণ করতে আরো ১০ টাকা খরচ হয় আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এই চাল ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষক ও কৃষি বাঁচাতে এটি একরকম ভর্তুকি স্বরুপ। সরকারিভাবে ধান কেনার ফলে যে বাজার বৃদ্ধি পাবে এমন কোন কথা নেই, তবে সরকার যদি মার্কেটে থাকে তবে মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজার ডাউন করতে পারবে না। এছাড়া কৃষকদের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর ধান কেনার সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের দোষ হয়। এ বছর ধান কেনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা যাতে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। যদি এমনটি কেউ করে থাকেন তবে তারা দালাল চক্র, তারা আওয়ামী লীগের নয় তারা হাইব্রিড তাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন মন্ত্রী, এতে মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেনী বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি কৃষক তাদের ধানের ন্যয্যমূল্য পাবেন বলে মনে করেন মন্ত্রী।
এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম। এছাড়াও সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান,এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং জেলা-উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ।
এছাড়াও প্রান্তিক কৃষক, মিল মালিক এবং সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময়ে আমন ধান সংগ্রহে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন বক্তারা।